Pages

Showing posts with label Bengali. Show all posts
Showing posts with label Bengali. Show all posts

Thursday, October 2, 2014

সেই রাত - (That Night)

Throwback Thursday... This story I had written as a high-school student almost 17 years back in October of 1997 for my school magazine. The story was meant as an homage to the people who died in the 'Upahaar Cinema Fire' at Green Park, New Delhi on Friday, 13 June 1997. 



উঃ ! এই শীতের রাতেও ঘেমে-ঘেমে সব জামা কাপড় ভিজে গেল। আর হবে নাই বা কেন, পুলিশের তাড়ায়ে যে সেই ঘন্টা খানেক থেকে গলি-গলি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। চার দিন আগে শেঠ ধনিরামকে খুন করে বেশ কিছু  টাকা আর গয়নাগাটি নিয়ে পালালাম। সেই থেকে পুলিশের ভয়ে নিজের একটা গুপ্ত আস্তানায় লুকিয়ে ছিলাম এত দিন। যা খাবার-দাবার সেখানে ছিল সে সব দুদিন পরেই শেষ  গেল। তাই আজ আর না থাকতে পেরে সাহস করে বেরিয়ে গেলাম কিছু খাবার-দাবার কিনতে কম্বল ঢাকা দিয়ে। 

কিন্তু আজ আমার কপালটাই মন্দ। না জানি কি করে যেই দোকানে আমি পাউরুটি ইত্যাদি কিনতে গেছি সেই দোকানেই এক হাবিলদার একটা কুকুর নিয়ে  ঢুকেছে। কুকুরটা আমাকে দেখতেই পুরসরে চেঁচাতে শুরু করে দেয় আর সোজা আমার ওপর ঝাঁপ দেয়। ওর গলার চেনটা হাবিলদারের হাথে থাকার জন্য ও ঠিক আমার ওপের উঠতে পারল না। কিন্তু ওর ঝাপে আমার কবলের একটা কোনা ওর মুখে এসে গেল আর তাতেই সেই কোনটা ধরে এক টান দিল। টান পরতেই কম্বলটা আমার গা থেকে নেমে এলো। আমার আসল চেহারা সবার সামনে আসতেই হাবিলদারটা আমায় কিভাবে যেন চিনে ফেলল। চেনামাত্রই সে দিল তার হুইশিলে ফু আর কুকুরটাকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিল। কি আর করব, পরি কি মরি করে পালালাম সেখান থেকে। কুকুরটার থেকে বাঁচতে গিয়ে আমার অবস্তা কাহিল হয়ে গেল। ততক্ষণে আবার বেশ কয়েকটা পুলিশ জীপ্ আমার পিছনে লেগে গিয়েছে। বেশ বুঝতে পারছিলাম সারা শহরের পুলিশ সতর্ক হয়ে গেছে। 

অনেক কষ্টে গলি ঘুপচি দিয়ে পালিয়ে আমি এখানে এই গলিটার কোনে এসে পরে মনে হলো বেছে গেছি। কিন্তু একী, আবার পুলিশ জীপের সাইরেনের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি যে!!! আরে, ওখানে যে খুব আলো দেখতে পাচ্ছি। ওখানে তো সেই সিনেমা হল-টা আছে না যেটা এই বছর খানেক আগে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। সেই ভয়ংকর অগ্নিকান্ডে অনেকজন মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে তো এই হলটা বন্ধ ছিল, কবে আবার ঠিক-ঠাক হয়ে চালু হল। অবশ্য আমি তো মাস দুই শহরের বাইরে ছিলাম আর এখানে এসেই তো এই  ঝন্ঝাটের মধ্যে আটকে পরলাম। হয়ত এই মাঝেই এটা আবার শুরু হয়েছে। এই সব ভাভছি কি হটাথ পুলিশের জীপের শব্দ কানে পড়ল, বুঝলাম ওরা একদম কাছে এসে পড়েছে। এবার বাঁচবার একটাই উপায়, এক সিনেমা হাল্টাতেই ঢুকে পড়ি। 

এখনও লাস্ট শো শুরু হয়ে বেশিক্ষণ হয়েনি। এতক্ষণ কাস্টিং চলছিল। টিকেট কাউন্টারের  লোকটা  ভারী অদ্ভূত লাগলো আমার। একটা কম্বল দিয়ে সারা গা-মাথা পর্যন্ত ঢাকা। সে যখন আমাকে টিকেট-টা দিল তখন অর হাথটার এক ঝলক দেখেই আমার গা গুলিয়ে উঠল। ওর হাথটা এমন ভয়ংকর ভাবে জলে গেছে যে অনেক জায়গায় ভেতরের হাড় পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। বোধহয় সেই অগ্নিকান্ড তেই ওর এমনি অবস্থা হয়েছে। যাক এখন এই সব চিন্তা না করে ফিল্মটায় মন দি। কিন্তু চাইলেই কি আর মন বসানো যায়। দুদিন ধরে পেটে একটি দানাও পড়েনি আর এর পরেও যে কিছু পড়বে তারও কোনো আশা দেখতে পাচ্ছি না। সবের ওপর আবার সেই পুলিশের ঝন্ঝাট। আরে ওই তো একটা ছেলে ট্রে-তে করে  কি সব খাবারের জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। ওকে ডাকি, ওর কাছে যদি কিছু পাওয়া যায়। আরে ভাভতে ভাভতেই দেখি ও চলে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি ধরি ওকে। 

আরে! এ  আমি কি দেখছি... ইন্টার্ভেলের আলো জ্বলে যেতেই, আমি একি দেখছি... এই ছেলেটার গায়ে তো মাংশ বা চামড়া কিছুই নেই। দুই চক্ষু কঠরের মধ্যে একটার থেকে আবার মাংসের দলা মত বেরিয়ে রয়েছে। উফ! কি বিভৎস!

আরে একি ! এই হল-এ কারা বসে আছে, এরা কি মানুষ, না প্রেতাত্মা! 

উঃ! আমি আর এখানে থাকতে পারছিনা, আমায় এক্ষুনি এখান থেকে পালিয়ে যেতে হবে... 

ঐ যে, ওরা নিজেদের সিট ছেড়ে উঠে আসছে আমারি দিকে। এরা যে সবাই জীবন্ত কঙ্কাল। কেউ পুরোপুরি কঙ্কাল, যাদের গায়ে এক ফোঁটা মাংশ বা চামড়ার চিহ্ন নেই, আর অন্যদের গায়ে কথাও-কথাও  লেগে রয়েছে পোড়া মাংশ  আর চামড়ার অবশেষ। কারো আবার চোখের কোটর থেকে বেরিয়ে এসেছে মাংশের দলা, অন্যদের চোখের লেশমাত্রও নেই। 

না, এবার এখান থেকে পালাতেই হবে। কিন্তু আমি পালাবো কোথা দিয়ে? এই হলে স্রেফ একটাই দরজা খোলা রয়েছে আর তারই সামনে রয়েছে বালকনিতে যাবার স্নিরি। আর সেইদিয়ে নেমে আসছে আরো অনেক নরকঙ্কাল। আমার পালাবার রাস্তা বন্ধ সবদিক দিয়ে। ওরা আমায় ঘিরে ফেলেছে চারিদিক দিয়ে। হল-এ ঢোকা মাত্র যে হালকা এক গন্ধ পেয়েছিলাম আবার আমি সেটা চিনতে পেরেছি। খুব চড়া ভাভে আসছে এবার সেই গন্ধ, পোড়া মৃতদেহের গন্ধ! 

উঃ! আমার গা গুলিয়ে বমি আসছে, আমার হটাত বুকে খুব ব্যথা শুরু হয়েছে, মাথা ঝিম-ঝিম উঠছে, আমি টলে-টলে পরে যাচ্ছি...

হাঁ, আমি এখন সেই প্রেতাত্মাদের  সাথে বসেই ফিল্ম দেখছি। আমি আর ওদের ভয় করিনা। ওদের নিয়ে আমার আর কোনো অস্বস্তিও নেই। কারণ...কারণ আমি এখন ওদেরই একজন, আমিও এখন একটি প্রেতাত্মা। 

কাল সকালে হয়ত পুলিশ আবিষ্কার করবে আমার মৃতদেহ। এক সিনেমা হলের ধ্বংশাবশেষের স্নিরিতে। তার পোস্টমর্টেম করলে ওরা জানতে পারবে যে আমার মৃত্যু হয়েছে প্রচন্ড ভয় পেয়ে হার্টফেল কোরে। কিন্তু কেউ জানতে পারবে না যে কি দেখে আমার চোখ এমন ছানাবড়া হয়েছিল মৃত্যুর সময়, কি দেখে এত ভয় পেল একটি দাগী চোর, খুনে! কেউ জানতে পারবে না আমার 'সেই রাতের' সেই ভয়ংকর অভজ্ঞতার কথা।।

Monday, October 8, 2012

আমি নির্দোষ ছিলাম - Aami Nirdosh Chhilam - I was Innocent

Note: Wrote this story long back in school, that was published in a magazine then. Retrieved it now and hence posting the scan copy. Excuse the childish writing....



Monday, August 30, 2010

এবার আমি শুতে যাই...












শুতে  যাই, এবার আমি শুতে যাই...
যাত্রার এই ক্লান্তি মেটাতে এবার আমি, শুতে যাই!!

এই  যাত্রা দেখালো কত কিছু...
রোগীন কিছু স্বপ্ন,
ঝলমলে কিছু মৃগয়া,
কিন্তু এসব সবি আলো-ছায়ার সৃষ্টি,
আসলে তো কিছু নয়, কেবলি চোখের জলের বৃষ্টি!!

এই যাত্রায় শুধু যে পেলাম...
অন্তহীন কাঁটা ভরা পথ,
কোনো পাষান হৃদয় নদী,
এক চিলতে তপ্ত আকাশ,
শুষ্ক মেঘের বজ্রপাত,
অমাবস্যার আঁধার রাত্রি,
আর কিছু মুখোশ পরা সহযাত্রী!!

হার মানিনি তাও, চলেছি লড়তে-লড়তে,
এই যাত্রার পথ জরিপ করতে-করতে,
কিন্তু যায়না যে চেনা, এখানে শত্রু কে আর মিত্র কে!
এগিয়েছি আগে, না সমানে পিছিয়ে পরেছি,
অদৃষ কোনো প্রতিযোগীর কাছে!
চেয়েছিলাম শুধু বিজাতার দলে নাম হোক আমার,
কিন্তু হেরে গেছে যেসব অনাম,
তারাও আমার নাম...
লিখতে দেয়নি নিজের মাঝে!!

লক্ষহীন এই নিরুদেস্য যাত্রা আমার, বুঝিয়ে দিয়েছে,
হয়ে এসেছে যাত্রা শেষের পালা!
এবার আর কোনো কিছু, দেখার নেই,
শোনার নেই, পাবার নেই, জানার নেই!!

ব্যস একটাই ইচ্ছা এবার রয়েছে মনে ...
শুতে যাই, এবার আমি শুতে যাই,
জীবন যাত্রার ক্লান্তি মেটাতে এবার আমি,
চিরনিদ্রায় শুতে যাই!!




English translation:





Now I Go To Sleep...

Going to sleep, now i go to sleep,
To recover from the tiredness of journey, now i go to sleep!!

This journey has shown so many things...
Some colorful dreams,
Some bright mirage,
But all these are just play of light and darkness,
There is nothing in reality, just rain of tears!!

Only things i got from this journey...
Endless road full of thorns,
Some stone hearted rivers,
A piece of scorching sky,
Lightening from dry clouds,
Moonless dark nights,
And some masked co-travelers!!

I have not accepted still, i keep on fighting,
Going on measuring the road,
But its so difficult to differentiate between friend and enemy!
Weather i have moved forward, or just keep going backwards,
Against some invisible competitor!
I just wanted to be named among the winners,
But even those nameless losers,
They also haven't allowed my name,
To be written among them!!




This aimless journey of mine,
Has made me realize,
The journey is at its last leg!
Now there is nothing, to see,
To hear, to get, to have!!




The only wish remains now...
Going to sleep, now i go to sleep,
To recover from the tiredness of life's journey, now i go to everlasting sleep!!